কিউআর কোড কি, বার কোড কি? QR Code কিভাবে তৈরী করা যায়?

QR Code কি? QR Code কিভাবে তৈরী করা যায়? এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। আবার যারা অবগত আছি তারা জানি না কিভাবে এই কোড তৈরী করতে হয়। 


QR Code সম্পর্কে যারা জানে বিশেষ করে যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে এই QR Code ব্যবহার করে থাকে। এটি ব্যবহারের জন্যে কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই। স্মার্টফোনের মাধ্যমে স্ক্যান করে যে কেউ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। 


আজকে এই লেখার মাধ্যমে আপনি জানতে চলেছেন-

  • কিউআর কোড কি?
  • কিউআর কোড এর ইতিহাস
  • কিউআর কোড এর প্রয়োজনীয়তা
  • QR Code কিভাবে কাজ করে?
  • QR Code কিভাবে তৈরী করা যায়?

তো চলুন শুরু করা যাক।


সহজ পদ্ধতিতে QR Code তৈরী করার উপায়

QR Code কি?

QR (Quick Response) Code হলো সাদা ও কালো প্রতীক যুক্ত বর্গাকার আকার, যেটা স্মার্টফোনের সাহায্যে স্ক্যান করে যেকোনো প্রোডাক্ট সম্পর্কে তাৎক্ষণিক ধারণা নেওয়া যায়। 

অর্থাৎ, এটা এমন একধরণের কোড যেটা যেকোনো মানুষ তার স্মার্টফোনের মাধ্যমে স্ক্যান করে এই কোড এর মধ্যকার সকল তথ্য মুহূর্তের মধ্যে তার আয়ত্তে নিতে পারে। 

এই QR Code এ সাধারণত বিভিন্ন ধরণের লিংক, কুপন, ইভেন্ট ইনফরমেশন এছাড়াও আরো নানান তথ্য থাকে যা একজন ব্যবহারকারী পরবর্তীতে এই কোড এর মাধ্যমে তথ্যগুলো পেয়ে থাকে। 

QR Code দেখতে নিচের ছবির মতো হয়ে থাকে:

কিউআর কোড কি

যদিও সব QR Code দেখতে উপরের ছবির মতো নাও হতে পারে। তবে বেশির ভাগ QR Code গুলো উপরের ছবির মতো বর্গাকার হয়ে থাকে। 

প্রায়শই আপনি বিভিন্ন ধরণের মেইল, ম্যাগাজিন, ওয়েব পেজ, স্বাক্ষর, বিলবোর্ড কিংবা বিজ্ঞাপনের ব্যানার বা বিলবোর্ড এ QR Code খুঁজে পাবেন। আপনি চাইলে আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে স্ক্যান করে এই কোড গুলোতে দেওয়া তথ্য দেখতে পারবেন। 


QR Code এর ইতিহাস

QR Code সিস্টেমটি ১৯৯৪ সালে প্রথম ব্যবহার করা হয়। Masahiro Hara নামে জাপানের এক অটোমোটিভ কোম্পানী প্রথম এটি তাদের কোম্পানী এর কাজের জন্য তৈরী করে। 

প্রাথমিক ডিজাইনটি সাদা ও কালো রং মিলিয়ে তৈরী করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল মূলত, উৎপাদনকালে যানবাহন ট্র্যাক করা। এটা এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল যে, এর হাই স্পিড স্ক্যানিং ক্ষমতা ছিল। 

বর্তমানে QR Code বৃহৎ আকারে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধুমাত্র জাপানের সেই কোম্পানিটিতে এটি আর থেমে নেই। বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন পরিসরে, বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কাজের জন্য QR Code ব্যবহার করছে এবং দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। 

QR Code তৈরী করার জন্য বর্তমানে অনেক সফটওয়্যার তৈরী করা হয়েছে যার মাধ্যমে কিভাবে QR Code তৈরী করা যায় তা যেমন আপনি জানতে পারবেন তেমনি খুব সহজেই কিউ.আর কোড তৈরী করতে পারবেন।  


QR Code এর গুরুত্ব (Importance of QR Code)

QR Code নিয়ে বলতে গেলে এর অনেক গুরুত্বই আছে। কারণ- দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানি তে এর ব্যবহারও ব্যাপকহারে বাড়ছে। আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন শুধুমাত্র বড় বড় কোম্পানি নয় ছোট ছোট কোম্পানিগুলোও এর দিকে ঝুকে পড়ছে প্রতিনিয়ত। QR Code এর কিছু Importance বা গুরুত্ব নিচে দেওয়া হলো। 

১। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা যাতে খুব সহজে, নির্ভুলভাবে, দ্রুততার সহিত যেকোনো তথ্য হাতের নাগালে পেতে পারে সেজন্য QR Code অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

২। Offline এবং Online মিডিয়া এর জন্য ব্রিজ হিসেবে কাজ করে। Offline হিসেবে এই কোড বিভিন্ন বিলবোর্ড, ব্যানার, কার্ড ইত্যাদিতে আপনি দেখতে পাবেন। মূলত এই অফলাইন কোডের মাধ্যমে আপনি চাইলে অনলাইনে প্রবেশ করে তাদের প্রদত্ত ইনফরমেশন দেখতে পারবেন। 

৩। আপনার প্রিন্টিং খরচ কমিয়ে দিবে। কারণ আপনি ছোট্ট একটি QR Code এর মধ্যে যত তথ্য দিতে পারবেন ঠিক ততটা তথ্য আপনি আপনার প্রদত্ত জায়গায় দিতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে আপনার প্রিন্টিং খরচ বেড়ে যাবে। QR Code আপনার এই খরচ কমাতে সহায়ক হবে। 

৪। SMO এবং SEO মার্কেটিং এর জন্যে QR Code গুরুত্বপূর্ণ। 

৫। QR Code এর মাধ্যমে কোনো কাস্টমারকে তথ্য পাওয়ার জন্যে অপেক্ষা করতে হয় না। যেকোনো তথ্য খুব সহজেই মুহূর্তের মধ্যে যে কেউ পেয়ে যেতে পারবে। 

৬। তাছাড়াও বিভিন্ন এপ ডাউনলোড কিংবা যেকোনো কিছু ডাউনলোড করার জন্যে এটা অন্যতম সুন্দর একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। 

৭। বিশেষ করে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য এটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ- বর্তমান যুগ স্মার্টফোনের যুগ, তাই যে কেউ চায় খুব সহজেই যে কোনো তথ্য হাতের নাগালে পেতে। সেক্ষেত্রে QR Code এর ভালো বিকল্প আর নেই। 


বিভিন্ন ধরণের QR Codes (Different Types of QR Codes)

বিভিন্ন ধরণের QR Code আছে তার মধ্যে যেগুলো বেশি চলমান তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নিচে দেওয়া হলো। আপনি চাইলে আপনার প্রয়োজন মতো যে টাইপ QR Code প্রয়োজন তা তৈরী করে নিতে পারেন। 
  • ইমেজ গ্যালারি QR Code
  • ইউআরএল QR Code
  • পিডিএফ QR Code
  • ভি-কার্ড (Vcard) QR Code
  • গুগল ম্যাপ QR Code
  • ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট QR Code
  • প্রোডাক্ট প্যাকেজিং QR Code
  • ডাউনলোড এপ QR Code
  • অডিও ফাইল সোনার QR Code
  • কুপন (Coupon) রিলেটেড QR Code ইত্যাদি। 
এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের QR Code রয়েছে।


QR Codes কিভাবে কাজ করে? (How Do QR Codes Work)

QR Codes বিভিন্ন ভাবে কাজ করে। যেমন ধরুন, আপনি বিকাশ থেকে টাকা ক্যাশ আউট করবেন এবং আপনার একটি স্মার্টফোন আছে। তাহলে আপনি সচরাচর কি করেন? বিকাশ এজেন্ট এর কাছে যান এবং তার বিকাশ নম্বর এর QR Code টি আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে স্ক্যান করে খুব সহজেই নম্বর তোলা ছাড়াই টাকা ক্যাশ আউট করেন। এতে ভুল নাম্বারে টাকা চলে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না। জ্বি, এটাই হলো QR Code। এ ছাড়াও এর বহুবিধ ব্যবহার আছে। 

আবার ধরুন পেপারে একটি বিজ্ঞাপন দেখলেন, এখন আপনি ওই বিজ্ঞাপন সম্পর্কে আরো তথ্য পেতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি কি করবেন? তখন দেখবেন যে সেই প্রিন্টেড বিজ্ঞাপনের কোনায় একটি QR Code দেওয়া আছে। কোডটি স্মার্টফোনের সাহায্যে স্ক্যান করার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দাতার ওয়েবসাইটে চলে যেতে পারবেন এবং আরো  তথ্য পেয়ে যাবেন। 


Barcode কি? (What is Barcode)

Barcode হলো Bar এবং Space এর সমন্বয়ে গঠিত একধরণের Machine Readable ছবি বা সংখ্যা যা Optical Bacode Scanner এর সাহায্যে পড়া যায় বা তথ্য পাওয়া যায়। 

বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর গায়ে বা বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর প্যাকেজিং এর গায়ে এই বারকোড হরহামেশাই দেখা যায়। QR Code এর পাশাপাশি Barcode ও বর্তমানে নানান ধরণের প্রোডাক্ট এর জন্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

Bar Code দেখতে সাধারণত নিচের ছবির মতো হয়ে থাকে:

বার কোড কি


QR Codes বনাম Barcodes (Difference Between QR Code and Barcodes)

আপনি কি মনে করেন যে, QR Code এর কারণে ঐতিহ্যবাহী Barcodes এর জনপ্রিয়তা কমেছে? অবশ্যই নয়। কারণ-বর্তমানেও ব্যাবসার ক্ষেত্রে ভোক্তা পণ্য সনাক্তকরণে এবং পণ্য তালিকা পরিচালনায় Barcodes ব্যবহার হয়। 

যাইহোক, QR Code এবং Barcodes এর মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। এই দুই কোডের ব্যবহার ও বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য নিচে দেওয়া হলো। 

১। QR Code এর আকারে ভিন্নতা দেখা যায় 

Barcodes সাধারণত আয়তাকার আকারের হয়ে থাকে এবং এই কোড পড়ার জন্য স্ক্যানিং ডিভাইস এর প্রয়োজন পরে। বারকোড তার তথ্যগুলো অনুভুমিকভাবে প্রদর্শন করে। 

QR Code প্রায়শই বর্গাকার হয়ে থাকে এবং এই কোড পড়ার জন্যে একটি স্মার্টফোনই যথেষ্ট। QR Code তার তথ্যগুলো সাধারণত উলম্ব এবং অনুভূমিক দুই ভাবেই প্রদর্শন করে থাকে। 

২। QR Code গুলোর মধ্যে অনেক বেশি ডাটা মজুদ থাকে 

QR Code এর বর্গাকার আকারের কারণে এর মধ্যে Barcodes অপেক্ষা অনেক বেশি ডাটা মজুদ থাকে। বাস্তবিক অর্থে, কিউ.আর কোড বারকোড অপেক্ষা ১০০ গুণ বেশি encrypted  characters ধারণ করতে পারে। 

৩। QR Code গুলি আলাদা আলাদা ডাটা মজুদ রাখে

QR Code প্রায়শই Barcodes এর থেকে আলাদা ভাবে ব্যবহার হয়। Barcodes সাধারণত প্রোডাক্ট এর মূল তথ্য সংরক্ষণ করে। যেমন: প্রোডাক্ট এর মূল্য এবং উৎপাদকের নাম। অন্যদিকে, QR Code এর থেকেও আরো বেশি তথ্য দিয়ে থাকে। যেমন: লোকেশন ডাটা, প্রোডাক্ট ল্যান্ডিং পেজ, প্রোডাক্ট এর ইউআরএল সহ আরো নানান তথ্য। 


কিভাবে একটি QR Code তৈরী করতে হয় (How to make a QR Code)

QR Code সম্পর্কে আপনি এতক্ষন অনেক কিছুই জেনেছেন। এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনেছেন। আশাকরি আপনি এতক্ষনে ঠিক করে ফেলেছেন যে আপনার কোন টাইপ QR Code প্রয়োজন। তো চলুন দেখা যাক কিভাবে QR Code তৈরী করা যায়। 

  • প্রথমেই একটি QR Code Generator সিলেক্ট করুন
  • এরপর আপনি কি ধরণের কনটেন্ট প্রমোট করতে চান তা নির্বাচন করুন 
  • তারপর প্রদর্শিত ফর্ম এ আপনার ডেটা গুলো সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করুন 
  • এরপর ডাইনামিক QR Code ডাউনলোড করার জন্যে বিবেচনা করুন 
  • এরপর এটিকে ভালোভাবে কাস্টমাইজ করুন 
  • এবার QR Code টিকে পরীক্ষা করুন যে কোডটি কাজ করছে কিনা 
  • আপনার QR Code টি শেয়ার করুন এবং যেখানে প্রয়োজন ব্যবহার করুন। 
  • কোডটির পারফরমেন্স ট্র্যাক করুন 

বিগত কিছু বছর ধরে QR Code জনপ্রিয়তার মধ্যমণি হয়ে আছে। বর্তমানে মার্কেটারদের অনেক পছন্দের একটি জিনিস হলো এই QR Code। 

যদিও এটি বর্তমানে অনেক ভালো জায়গায় আছে এবং দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে তবুও এর কার্যকারিতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন এখনো রয়েই গেছে। তারপরও QR Code এর উপযোগিতা এবং জনপ্রিয়তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।

শুরু করার আগে প্রথমেই কিছু জনপ্রিয় ও সেরা QR Code Generator এর নাম জেনে নেওয়া দরকার যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার প্রয়োজনমতো QR Code তৈরী করতে পারবেন। 


বেস্ট QR Code জেনারেটরস


QR Code তৈরী করা খুব সহজ ও সাধারণ একটি ব্যাপার। নিচে ৮ টি ধাপের মাধ্যমে কিভাবে আপনার কনটেন্ট এর জন্য একটি উপযোগী QR Code কিভাবে তৈরী করা যায় তা দেখানো হলো।


প্রথম ধাপঃ একটি QR Code জেনারেটর সিলেক্ট করুন

প্রথমেই বলে রাখি QR Code  তৈরী করার জন্য আপনি অনেক অনেক QR Code Generator বা মোবাইল এপ্স পাবেন। তবে সবচেয়ে বেস্ট এপ বা জেনারেটরটি আপনাকে QR Code তৈরী করার জন্য অনেক বেশি অপশন দিবে যা ব্যবহার করে আপনি সবচেয়ে ভালো ও সব QR Code রিডার এপ্স সাপোর্ট করে এমন একটি QR Code তৈরী করতে পারবেন। যা আপনার প্রোডাক্ট কিংবা যে কোনো কিছুর জন্য উপযোগী হবে। 

QR Code সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে-
  • আপনার কোডের পারফরমেন্স বিশ্লেষণ ও ট্র্যাক করতে পারবেন কিনা তা বিবেচনায় রাখতে হবে। 
  • আপনাকে একটি ইউনিক QR Code ডিজাইন করার অনুমতি দিচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে। 
  • সব ধরণের প্রয়োজনীয় অপশন এভেইল্যাবল আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে।

কিছু কিছু QR Code আছে যেগুলো কোডের মধ্যে লোগো, আইকন ইত্যাদি প্রদর্শন করে যার ফলে যে কেউ স্ক্যান করার আগেই জানতে পারবে কোন ধরণের তথ্য সে পেতে পারে সেই QR Code থেকে। 


দ্বিতীয় ধাপঃ আপনি কোন ধরণের কনটেন্ট প্রমোট করতে চান তা নির্বাচন করুন 

তো চলুন একটি QR Code Generator নির্বাচন করা যাক যার মাধ্যমে QR Code তৈরির পুরো প্রক্রিয়াটি আমি আপনাদের দেখাবো। উপরে দেখানো ৮টি জেনারেটর থেকে আমি qr-code-generator.com কে নির্বাচন করেছি। 

প্রথমত, একজন মানুষ আপনার QR Code স্ক্যান করে কি ধরণের কনটেন্ট পাবে তা নির্বাচন করুন। আপনি নিচের স্ক্রিনশট এ দেখতে পাচ্ছেন মোট ১৩ টি অপশন আছে এখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজন মতো যেটি দরকার সেটি সিলেক্ট করুন। 


কিভাবে Qr কোড তৈরী করা যায়


ধরে নিলাম আমি একটি ইউআরএল প্রোমোট করবো তাই আমি আমার উদ্দেশ্য মতো URL সিলেক্ট করলাম। এই ইউআরএল টি সরাসরি আমার ব্যবহারকারীকে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে। 


তৃতীয় ধাপঃ প্রদর্শিত ফর্মে আপনার নির্ধারিত ডেটাগুলো দিয়ে পূরণ করুন

যখন আপনি আপনার কনটেন্ট সিলেক্ট করবেন তখন আপনার সামনে একটি ফর্ম প্রদর্শিত হবে। এই ফর্মে বিভিন্ন ধরণের ডেটা চাওয়া হবে। ফর্মে প্রদর্শিত ডেটাগুলো সঠিক ভাবে পূরণ করুন। 

যদি QR Code টিতে আপনি আপনার যোগাযোগের ঠিকানা যুক্ত করতে চান যেমন ধরুন ইমেইল ঠিকানা সাথে কোনো মেসেজ তাহলে আপনি তা যুক্ত করতে পারবেন। এর জন্য একটি ফিল্ড দেখতে পারবেন যেখানে আপনি আপনার সেই সব তথ্য যুক্ত করতে পারবেন। 

সবচেয়ে ভালো হয় QR Code তৈরীর আগে যদি আপনি সাইট টিতে সাইন আপ করে নেন। তাহলে আরো নানান ফীচার পাবেন যা আপনার QR Code কে আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে। 

এই ধাপে নিচের স্ক্রিনশট এর মতো আপনার ওয়েবসাইট এড্রেস লেখার পর সাইটের সবার নিচে Next Button এ ক্লিক করুন। 


Qr কোড তৈরী


চতুর্থ ধাপঃ কাস্টোমাইজ করুন

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো QR Code কে আপনার ব্র্যান্ড অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করে নেওয়া। এটা যেমন মজাদার তেমনি একদম সিম্পল এবং সহজও বটে। 

আপনি আপনার ব্র্যান্ড এর কালার অনুযায়ী আপনার QR Code এর বাহিরের কালার এবং ভিতরের কালার পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। তাছাড়াও আপনার ব্র্যান্ড এর লোগো আপলোড করে QR Code এর মধ্যে বসাতে পারবেন এবং আপনার QR Code এর শর্ট লিংক টি কপি করে রেখে দিতে পারবেন। নিচের স্ক্রিনশট লক্ষ্য করুন তাহলে আরো ক্লিয়ার হয়ে যাবেন।


QR Code scanner

সব QR Code Generator এ একই ধরণের অপশন থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। এটা শুধুমাত্র qr-code-generator.com  এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। 


পঞ্চম ধাপঃ QR Code টি ডাউনলোড করুন

পুরোপুরি কাস্টমাইজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এখন আপনার QR Code টি ডাউনলোড করার জন্য তৈরী। ডাউনলোড করার জন্য আপনি ডাউনলোড অপশন দেখতে পাবেন। নিচের স্ক্রিনশট দেখুন। 

কিউআর কোড জেনারেটর



তবে এক্ষেত্রে সরাসরি ডাউনলোড না করে আপনি উপরে স্ক্রিনশট এর চিহ্নিত স্থানে (three dot) ক্লিক করুন। তাহলে ডাউনলোডের জন্য বিভিন্ন অপশন পাবেন। 

QR Code ডাউনলোড করার জন্য আপনি ৪ ধরণের অপশন পাবেন। যেমন- png, jpg, svg এবং eps। আপনার প্রয়োজনমতো যে ফরমেট দরকার আপনি সেই ফরমেটটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। নিচের স্ক্রিনশট লক্ষ্য করুন। 


অনলাইন কিউআর কোড স্ক্যানার
আপনার ডাউনলোড সম্পন্ন হয়ে গেলে নিচের ছবির মতো একটি QR Code আপনি পেয়ে যাবেন।  যেমন- আমি আমাদের ওয়েবসাইট Shakilog এর জন্য যে QR Code টি বানিয়েছি তা পুরোপুরি কাস্টোমাইজ এবং ডাউনলোড করার পর যেরূপ হয়েছে তা নিম্নরূপ।


কিউআর কোড রিডার



ষষ্ঠ ধাপঃ QR Code টি স্ক্যান করে পরীক্ষা করুন যে এটি সঠিক আছে কিনা

কাস্টোমাইজ করা QR Code পড়ার জন্য অনেক মোবাইল এপ্স এর জন্য অনেক কঠিন হয়ে যেতে পারে। তাই আপনার QR Code টি সঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিন। 

বিশেষ করে কয়েকটি QR Code Reader মোবাইল এপ্স দিয়ে যাচাই করে দেখুন যে কোডটি সঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা। 


QR Code সঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা বা যাচাই করার জন্য কয়েকটি ফ্রি টুল হলো-

  • Google Goggles
  • QR Code Reader
  • Passbook

Google Googles এর কাজ হলো আপনার QR Code এর একটি ফটো নিয়ে তার মধ্যে কোনো লিংক বা আইটেম আছে কিনা তা সঠিক ভাবে যাচাই করা। 

এছাড়াও আরেকটি ফ্রি টুল হলো QR Code Reader । যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে QR Code এর মধ্যে কি আছে তা আপনাকে জানিয়ে দিবে। 

যারা iOS 7 ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে যাচাই করার জন্য রয়েছে Passbook নাম একটি টুল যা আপনাকে আপনার QR Code পড়তে সাহায্য করবে। 

সব কথার শেষ কথা হলো, QR Code তৈরী করার পর তা ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে। তা না হলে কোড কাজ নাও করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার ব্র্যান্ড ক্ষতির সম্মুখীন হবে। 


সপ্তম ধাপঃ QR Code টি শেয়ার ও ডিস্ট্রিবিউট করুন

একটি QR Code ততক্ষণ পর্যন্ত কাজে আসবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না এটা সবার কাছে পৌঁছাচ্ছে এবং সবাই দেখতে পারতেছে। এজন্য এখন এই QR Code টিকে ডিস্ট্রিবিউট করতে হবে এবং সবার মাঝে শেয়ার করতে হবে যাতে সবাই আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানতে পারে। 

এর ফলশ্রুতিতে আপনি আপনার এই QR Code কে সোশ্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট বিজ্ঞাপন, পোশাক-পরিচ্ছদ এর মধ্যে, কোনো স্থানে কিংবা বিলবোর্ড বা কার্ড এর মাধ্যমে সবার মাঝে শেয়ার ও ডিস্ট্রিবিউট করতে পারেন যাতে করে মানুষ আপনার QR Code টি দেখে এবং তাদের স্মার্টফোনের মাধ্যমে স্ক্যান করে আপনার প্রদত্ত তথ্যটি দেখতে পারে। 

শুধুমাত্র কোডটি পাবলিশড করলেই হবে না, আপনার এই QR Code টি শেয়ার করার উদ্দেশ্য সবাইকে ছোট করে জানাতে হবে যাতে করে মানুষ আপনার কোডটি স্ক্যান করে আরো তথ্য নেওয়ার জন্য আগ্রহী হয়। 


অষ্টম ধাপঃ আপনার QR Code টির পারফরমেন্স বিশ্লেষণ ও ট্র্যাক করুন 

মনে করুন আপনি আপনার ব্র্যান্ড এর জন্য মার্কেটিং করবেন এবং আপনার মার্কেটিং টুল হিসেবে আপনি আপনার তৈরিকৃত QR Code টি ব্যবহার করেছেন। 

তাহলে আপনার QR Code টি থেকে কত ট্রাফিক আসছে তা এই কোডের পারফরমেন্স বিশ্লেষণ ও ট্র্যাক করে জানা যাবে। তারা আপনার QR Code স্ক্যান করে আপনার ল্যান্ডিং পেজ এ আসছে কিনা, কতজন আপনার ব্র্যান্ড এর অফার গ্রহণ করছে কিনা সব কিছুই ট্র্যাক করা যাবে এর মাধ্যমে। 

এক্ষেত্রে আপনার কোডটি যদি অনেক মানসম্মত হয় তাহলে আপনার QR Code এর পারফরমেন্স অনেক ভালো হবে ও যেকোনো কিছু সহজেই ট্র্যাক করতে পারবেন। 

আপনার ইউআরএল টি সঠিক ভাবে ট্র্যাক করার জন্য আপনার ইউআরএল এ UTM Tracking Code যুক্ত করতে পারেন। তাহলে খুব সহজেই আপনার প্রদত্ত ইউআরএল কে ট্র্যাক করতে পারবেন ও এর পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করতে পারবেন। Closed Loop Marketing Analysis এর জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 


কিভাবে QR Codes ব্যবহার করবেন এবং কিভাবে করবেন না (How to Use QR Code)

এতক্ষন আমরা QR Code তৈরির প্রক্রিয়া দেখলাম। কত সহজেই না QR Codes তৈরী করা যায়, তাই না? তো চলুন এখন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আপনি এই QR Code গুলো ব্যবহার করবেন যাতে করে আপনার QR Code টি ব্যবহারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। 

১। সুবিধাজনক স্থানে QR Code গুলো স্থাপন করুন

এমন একটি সুবিধাজনক জায়গায় QR Code স্থাপন করুন যাতে যারা ভোক্তা আছে তারা খুব সহজেই আপনার QR Code এর এক্সেস পেতে পারে। আপনি প্রায়শই দেখে থাকবেন যে, QR Code গুলো বিভিন্ন ধরণের বিলবোর্ড ও টিভি বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়ে থাকে। যা মোটেও কোনো user-friendly স্থান নয়। 

আপনাকে এমন জায়গা বিবেচনা করতে হবে যাতে যে কেউ সহজে আপনার QR Code গুলোর এক্সেস পায়। এজন্য সুবিধাজনক জায়গা নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। 

২। QR Code এর পৃষ্ঠাটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি করুন

আপনার শেয়ারকৃত QR Code এর পৃষ্ঠটি যাতে মোবাইল ডিভাইস এর জন্য সুবিধাজনক হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। যাতে করে আপনার QR Code স্ক্যান করার সময় একজন মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারকারী পজিটিভ এক্সপেরিয়েন্স পায়। 

৩। আপনার QR Code এ Call to Action বা নির্দেশিকা যুক্ত করুন

QR Code এ CTA বা কল টু একশন যুক্ত করুন যাতে করে যে কেউ আপনার QR Code স্ক্যান করতে উদ্বুদ্ধ হয়। CTA কে বলা হয় একধরণের অনুরোধ যার মাধ্যমে ভোক্তা বা মানুষ কে QR Code টি স্ক্যান করার জন্য অনুরোধ করা হয়। অনেকে QR Code সম্পর্কে নাও জানতে পারে সেক্ষেত্রে CTA অনেক কাজে দিবে। 

৪। আপনার QR Code টি একটি মোবাইল ডিভাইস স্ক্যানার এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবেন না 

কোনো স্পেশাল QR Code Scanner এর জন্য আপনার QR Code টি তৈরী করবেন না। আপনার QR Code টি সবধরণের স্ক্যানার সাপোর্ট করে এমন হওয়া উচিত। যাতে যে কেউ যে কোনো স্ক্যানার দিয়ে আপনার কোডটি স্ক্যান করতে পারে। 

৫। মানুষের লাইফ কে সহজ করার জন্য QR Code টি ব্যবহার করুন 

আপনার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানুষের লাইফ কে আরো সহজ ও স্বাভাবিক করা। তাই আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন আপনার QR Code এর মাধ্যমে যাতে মানুষের লাইফ আরো সহজ হয়। যেকোনো তথ্য পেতে যাতে ভোগান্তি পোহাতে না হয়। 

QR Code গুলো শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ হাছিলের জন্য ব্যবহার না করে কি করে এর মাধ্যমে আরেকজনের জীবন কে সহজ করা যায় তা বিবেচনায় রাখতে হবে।


QR Code এর সুবিধা এবং অসুবিধা (Pros and Cons of QR Code)

প্রত্যেকটি জিনিসেরই যেমন ভালো-মন্দ দিক থাকে তেমনি QR Code এর ও কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা আছে। নিচে QR Code এর কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা তুলে ধরা হলো। 

QR Code এর সুবিধা

  • QR Code এর প্রথম এবং অন্যতম সুবিধা হলো এর বৈচিত্রতা।
  • QR Code যেকোনো কিছুর জন্য যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করা যায়। 
  • QR Code মোটামুটি ফ্রি এবং সুলভ মূল্যে ব্যবহার করা যায়। তাছাড়াও এই কোড বিভিন্ন মিডিয়াতে ব্যবহারযোগ্য এবং এটি ব্যবহার করাও অনেক সহজ। 
  • এই কোডের নিচে বিস্তারিত কিছু লেখার প্রয়োজন পরে না। শুধু কোডটি থাকলেই চলে এবং স্ক্যান যোগ্য হলে আর কোনো কিছুর দরকার নেই। 
  • QR Code এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো আপনি যদি কোনো এসাইনমেন্ট করে থাকেন তাহলে তা আর প্রিন্ট করার প্রয়োজন নেই। কারণ এই QR Code এর মধ্যেই সব ইনফরমেশন কেন্দ্রীভূত থাকবে। 
  • অতিরিক্ত তথ্য পাওয়ার জন্যে এই কোডের মাধ্যমে দ্রুত এক্সেস পাওয়া যায়। 
  • এই QR Code বোঝার জন্যে আপনাকে কোনো কোডিং জানতে হবে না। 
  • তথ্য পাওয়ার জন্যে কোনো ধরণের লম্বা ইউআরএল টাইপ করতে হয় না। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরাও এই কোড থেকে সহজেই তথ্য পেতে পারবে। 
  • যেকোন তথ্য সরবরাহ করার জন্য একটি মজাদার ও কার্যকরী উপায় হলো QR Code।
  • QR Code কাস্টমার এবং যেকোনো ব্যাবসার জন্যে লাভজনক। কারণ-ব্যাবসার ক্ষেত্রে এই কোড আপনার টাকা বাঁচাবে। বড় বড় বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। শুধু QR Code টি কাস্টমারদের কাছে পৌঁছালেই তাঁরা QR Code স্ক্যান করে সহজেই যে কোনো তথ্য পেয়ে যাবে হতে পারে সেটা ওয়েবসাইট সংক্রান্ত বা অনলাইন স্টোর সংক্রান্ত।


QR Code এর অসুবিধা

  • এই কোড ব্যবহারের জন্যে অবশ্যই ক্যামেরা সম্বলিত স্মার্টফোন এবং সাথে QR Code পড়তে পারে এমন সফটওয়্যার থাকতে হবে যা কিনা QR Code এর ছবিকে স্ক্যান করতে পারবে। 
  • সবার স্মার্টফোন নেই, তাই সবার ক্ষেত্রে এই কোড প্রযোজ্য নয়। যাদের স্মার্টফোন নেই তারা চাইলেই QR Code ব্যবহার করতে পারবে না। 
  • মানুষের মধ্যে QR Code সম্পর্কে ধারণা কম এবং যদিও এই কোড ব্যবহার করা অনেক সহজ তারপরও এর ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে সবাই অবগত নয়। 
  • QR Code এর যে ইমেজ বা ছবিটি দেওয়া থাকে তা বিকৃত বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে সেক্ষেত্রে এটি থেকে ভালোভাবে তথ্য নাও পাওয়া যেতে পারে। 
  • মোবাইল ফোন বা আপনার জন্যে উপযোগী নয় এমন সাইটে আপনাকে সরাসরি নিয়ে যেতে পারে। যা ভালো কিছু নাও হতে পারে। এটাকে একপ্রকার প্রযুক্তির অপব্যাবহার বলা যেতে পারে। 
  • ভালো ক্যামেরা কোয়ালিটি এর প্রয়োজন হতে পারে। যা সবার নাও থাকতে পারে। এটা এই QR Code এর একটি সীমাবদ্ধতা। 
  • QR Code খুব একটা নান্দনিক নয়। এটা আপনার প্রোডাক্ট এর সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে। 
  • যে তথ্যের জন্যে আপনি QR Code টি স্ক্যান করবেন মাঝে মাঝে সেই তথ্যটি নাও পাওয়া যেতে পারে। 


শেষ কথা

আমরা আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম QR Code এর নানান দিক সম্পর্কে। বিশেষ করে, কিভাবে আপনি আপনার নিজের ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্ট এর জন্য কাস্টম QR Code তৈরী করবেন। 

এই লেখার মাধ্যমে ধারণা নিয়ে, উপরের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে যেকোনো একটি QR Code Generator ব্যবহার করে আপনার প্রয়োজনমতো QR Code তৈরী করে নিতে পারবেন।

বর্তমানে QR Code এর জনপ্রিয়তা যেমন দিন দিন বাড়ছে তাই আপনি চাইলে QR Code ব্যবহার করে আপনার প্রোডাক্ট বা ব্র্যান্ড এর মার্কেটিং করতে পারবেন যা হয়তো আপনার জন্যে অনেক ফলপ্রসূ হবে। 

তাছাড়াও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যও আপনি QR Code তৈরী করতে পারবেন। হতে পারে সেটা আপনার ওয়েবসাইট, পডকাস্ট কিংবা পিডিএফ এর জন্যে। 

আপনার যদি QR Code তৈরী করার আরো ভালো কোনো পদ্ধতি কিংবা QR Code Generator সম্পর্কে জানা থাকে তাহলে কমেন্ট বক্স এ আমাদের জানাতে পারেন। 
Author Image

Shakil Abdullah
Assalamualaikum. I'm Shakil Abdullah. I'm a Student. Now I'm studying MSS (Hon's) in Sociology at Begum Rokeya University, Rangpur.

Post a Comment

0 Comments

TOP